rent vacant or new commercial space long term

বর্তমান কর্পোরেট বিশ্বের বিস্তৃতিতে নির্ভরযোগ্য বাণিজ্যিক স্পেসের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আমরা একটি পেশাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্পূর্ণ খালি বা নতুন বাণিজ্যিক স্পেস দীর্ঘমেয়াদে ভাড়া নিতে আগ্রহী, বিশেষ করে কর্পোরেট আবাসন ও অফিস ব্যবহারের জন্য। ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে আমাদের স্থায়ী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুসংগঠিত ও নিরাপদ ভবনের প্রয়োজন। আমাদের লক্ষ্য একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে ভবন মালিকদের জন্য নিশ্চিত আয়ের পথ তৈরি করা এবং আমাদের জন্য একটি স্থায়ী, মানসম্পন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা।

এই ব্লগে আমরা বিস্তারিতভাবে জানাবো আমরা কেন এই স্পেস খুঁজছি, কোন ধরনের স্পেস আমাদের প্রয়োজন, এবং ভবন মালিকরা কেন আমাদের সঙ্গে চুক্তি করলে উপকৃত হবেন।

আমরা কেন বাণিজ্যিক স্পেস খুঁজছি?

 

আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিধি দিন দিন বাড়ছে, এবং এর সঙ্গে বাড়ছে কর্পোরেট আবাসন ও অফিস স্পেসের প্রয়োজনও। বর্তমানে আমরা এমন একটি জায়গা খুঁজছি যা দীর্ঘমেয়াদে ভাড়া নিয়ে স্থায়ীভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য হলো—একটি পরিপূর্ণ, নিরাপদ এবং পরিবেশবান্ধব স্পেসে কর্মীদের বসবাস ও অফিস কার্যক্রম একত্রে পরিচালনা করা।

কর্পোরেট আবাসনের জন্য আমরা চাই এমন একটি ভবন যেখানে আমাদের টিম সদস্যদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন জীবনযাপন নিশ্চিত করা যায়। শহরের কেন্দ্রস্থলে নিরাপত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আবাসিক পরিবেশ আমাদের অগ্রাধিকার। এতে কর্মীরা অফিসের নিকটেই থাকতে পারবেন, সময় ও উৎপাদনশীলতা দুই-ই বাড়বে।

অন্যদিকে অফিস ব্যবস্থাপনার জন্য চাই এমন একটি স্পেস যেখানে ক্লায়েন্ট মিটিং, টিম কো-অর্ডিনেশন, এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চলতে পারে। এজন্য প্রয়োজন একটি পরিকল্পিত, ফাংশনাল ও দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় বাণিজ্যিক স্পেস।

কোন ধরণের স্পেস আমরা চাই?

 

একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নির্ভর করে তাদের অফিস ও আবাসন পরিবেশের ওপর। আমরা এমন একটি স্পেস খুঁজছি যা আমাদের কর্মীদের বসবাস ও অফিস পরিচালনার জন্য একসাথে উপযোগী। শুধু সৌন্দর্য নয়, কাঠামোগত পরিকল্পনা, নিরাপত্তা ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাপনা—এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয় আমাদের প্রধান বিবেচনা। ভবিষ্যতের সম্প্রসারণ, কর্পোরেট স্থায়িত্ব, এবং কর্মদলের সুবিধার্থে একটি নির্দিষ্ট স্পেস আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই আমরা এমন একটি সুযোগ খুঁজছি যা কেবল আজকের প্রয়োজন নয়, আগামী দিনের লক্ষ্য পূরণেও সহায়ক হবে।

নিচে উল্লেখ করা হল আমরা যে ধরণের স্পেস চাইঃ

  • কর্পোরেট বাসস্থান ও অফিস হিসেবে সমন্বিতভাবে ব্যবহারযোগ্য
  • সম্পূর্ণ খালি অথবা নতুন নির্মাণ সম্পন্ন
  • আয়তনে প্রশস্ত, আধুনিক অবকাঠামো ও কার্যকর বিন্যাস
  • নিরাপত্তা, লিফট, জেনারেটর ও পার্কিং সুবিধাসম্পন্ন
  • জনবহুল এলাকায়, প্রধান সড়ক সংলগ্ন বা সহজে পৌঁছানো যায়
  • ভবিষ্যতে স্পেস সম্প্রসারণের সম্ভাবনা থাকা

কোথায় কোথায় আমরা স্পেস খুঁজছি?

 

আমাদের কর্পোরেট কার্যক্রমের বিস্তার ও টিম সদস্যদের আবাসনের জন্য এমন জায়গা খুঁজছি, যেখানে অফিস এবং বসবাস উভয়ই মানসম্পন্নভাবে পরিচালনা করা যায়। লোকেশন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমরা এমন অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহজলভ্য এবং কর্মীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।

আমরা যেসব লোকেশনে স্পেস খুঁজছিঃ

  • উত্তরা
  • বসুন্ধরা
  • গুলশান
  • বনানী
  • বাড্ডা

উপরে উল্লেখিত এলাকাগুলো আমাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে কারণ প্রতিটি জায়গায় কর্পোরেট অফিস এবং আবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলোর ভালো সংমিশ্রণ পাওয়া যায়। আপনার যদি এসব এলাকায় খালি বা নতুন বাণিজ্যিক স্পেস থেকে থাকে, তাহলে আপনি আমাদের নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী ভাড়াটিয়া হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।

 

মালিকদের জন্য আমাদের অফার ও সুবিধা

 

আমরা শুধু একটি বাণিজ্যিক স্পেস ভাড়া নিতে চাই না—আমরা চাই ভবন মালিকের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদী, পেশাদার এবং বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে। আমাদের অফার ও ব্যবস্থাপনায় রয়েছে এমন কিছু সুবিধা, যা ভবন মালিকদের জন্য দায়মুক্ত, লাভজনক এবং নির্ভরযোগ্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। আমরা যেহেতু কর্পোরেট অফিস ও আবাসনের সমন্বিত ব্যবহার করি, তাই ভবনটির রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা এবং পরিবেশ সব সময় একটি মান বজায় রাখে।

আমরা মালিকদের জন্য যে অফার ও সুবিধা গুলো দিয়ে থাকেঃ

  • দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি: ৫–১০ বছরের চুক্তির মাধ্যমে স্থায়ী আয়ের নিশ্চয়তা।
  • নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ: প্রতিমাসে নির্ধারিত তারিখে সময়মতো ভাড়া প্রদান।
  • অগ্রিম পরিশোধের সুযোগ: মালিকের চাহিদা অনুযায়ী ৩–৬ মাস পর্যন্ত অগ্রিম ভাড়া প্রদান।
  • স্বচ্ছ চুক্তি: সকল শর্ত আইনি চুক্তির মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে সম্পাদন।
  • রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব: ভবনের রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারে যত্নশীল ব্যবহার।
  • ঝামেলাহীন ভাড়াটিয়া: কর্পোরেট ব্যবস্থাপনায় কোনো অতিরিক্ত চাপ বা ঝামেলা নেই।
  • সম্পত্তির মূল্যবৃদ্ধি: ভবনের সুনাম ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে ভবিষ্যতে ভ্যালু বাড়ে।
  • নিয়মিত যোগাযোগ: যেকোনো সমস্যা বা আলোচনায় মালিককে সর্বদা সম্মান ও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

 

দীর্ঘমেয়াদে ভাড়া চুক্তির ধরণ ও মেয়াদ

 

নিচে ভাড়া চুক্তির ধরণ ও মেয়াদ বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হলো, যাতে ভবন মালিকরা পুরো চুক্তি কাঠামো স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন:

  • চুক্তির মেয়াদ (৫–১০ বছর):

আমরা সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করি, যাতে ভবন মালিকের আয় স্থির ও নিশ্চিত থাকে এবং আমাদের পক্ষেও একটি নিরবিচ্ছিন্ন ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি হয়।

  • আইনি চুক্তিপত্র:

প্রতিটি চুক্তি একটি স্বচ্ছ, লিখিত ও আইনগতভাবে বৈধ দলিল হিসেবে সম্পন্ন হয়। নোটারাইজড চুক্তিপত্রে উভয় পক্ষের অধিকার, দায়িত্ব ও শর্তাবলী বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা থাকে।

  • অগ্রিম ভাড়া পরিশোধ:

ভবন মালিকের চাহিদা ও পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত অগ্রিম ভাড়া প্রদান করা হয়, যা মালিকের জন্য আর্থিক নিশ্চয়তা প্রদান করে।

  • বার্ষিক ভাড়া সমন্বয়:

প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট হারে (উদাহরণস্বরূপ ৫-১০%) ভাড়া বাড়ানোর ব্যবস্থা রাখা হয়, যা ভবিষ্যতের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখে।

  • দায়িত্ব ও খরচ বিভাজন:

চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে—কে কোন খরচ বহন করবে। যেমন, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, সার্ভিস চার্জ, মেইনটেন্যান্স বা সংস্কার ব্যয় ইত্যাদি আমরা বা ভবন মালিক কে বহন করবে তা আগেই নির্ধারিত হয়।

  • চুক্তি নবায়নের সুযোগ:

মূল মেয়াদ শেষে, মালিক ও আমাদের সম্মতিতে চুক্তি নবায়নের ব্যবস্থা থাকে। এতে ভবনের শূন্যতা ও নতুন ভাড়াটিয়া খোঁজার ঝামেলা এড়ানো যায়।

  • চুক্তি বাতিলের শর্ত:

কোনো পক্ষ যদি নির্ধারিত সময়ের আগেই চুক্তি শেষ করতে চায়, তবে পূর্ব নোটিশ এবং নির্দিষ্ট শর্ত মানতে হবে। এটি উভয় পক্ষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

 

  • উভয় পক্ষের সম্মতিতে কার্যকর:

চূড়ান্ত চুক্তি সম্পাদনের আগে সব শর্ত আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে কোনো ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা না থাকে।

 

ভবন মালিকদের জন্য পরামর্শ

 

আপনার সম্পত্তি যদি খালি পড়ে থাকে বা আপনি দীর্ঘমেয়াদে একটি নির্ভরযোগ্য ভাড়াটিয়া খুঁজছেন, তাহলে কিছু বিষয় আগেই বিবেচনা করা উচিত। প্রথমত, ভবনের কাগজপত্র ও দলিলাবলি হালনাগাদ ও সঠিক কিনা তা নিশ্চিত করুন। দ্বিতীয়ত, স্পেসটি কর্পোরেট ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত আছে কিনা, যেমন পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ, পানির লাইন, লিফট, পার্কিং ইত্যাদি—এই বিষয়গুলো যাচাই করুন।

এছাড়া, চুক্তির শর্তাবলী যতটা সম্ভব স্বচ্ছ ও লিখিতভাবে করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়। আইনি সহায়তা নিয়ে চুক্তি সম্পাদন করলে আপনি যেমন সুরক্ষিত থাকবেন, তেমনি একটি পেশাদার সম্পর্কও বজায় থাকবে। মনে রাখবেন, দীর্ঘমেয়াদি কর্পোরেট ভাড়াটিয়া মানেই নিয়মিত আয়, কম ঝুঁকি এবং ভবনের সম্মানজনক ব্যবহার নিশ্চিত করা।

আপনি যদি একজন সচেতন ও দূরদর্শী ভবন মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে এখনই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন—আমরা প্রস্তুত আপনার খালি স্পেস দীর্ঘমেয়াদে ভাড়া নিতে।

 

সারসংক্ষেপ

 

একজন ভবন মালিক হিসেবে আপনি নিশ্চয়ই এমন একজন ভাড়াটিয়া খুঁজছেন, যারা সময়মতো ভাড়া দেয়, ভবনের যত্ন নেয় এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। আমরাই সেই নির্ভরযোগ্য ভাড়াটিয়া — যারা পেশাদার মনোভাব, স্বচ্ছ চুক্তি, এবং ভবিষ্যতমুখী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসে।

আপনার ভবনের আয় বাড়াতে এবং খালি পড়ে থাকা সম্পত্তিকে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে আমাদের সাথে কাজ করাই হতে পারে আপনার সেরা সিদ্ধান্ত। আজই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং একটি লাভজনক চুক্তির পথ সুগম করুন।

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

 

আপনার ভবন যদি খালি থাকে, বা নতুন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং আপনি একজন পেশাদার ও দীর্ঘমেয়াদি ভাড়াটিয়া খুঁজছেন – তবে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নিচের মাধ্যমে:

📱 মোবাইল: +৮৮০১৭১১৯৯০০১০ / +৮৮০১৭১১৯৯৩৩৭৭

📧 ইমেইল: info@hotels.com.bd

🌐 ওয়েবসাইট: www.hotels.com.bd

সচরাচর জিজ্ঞাসা

আপনারা কোন ধরণের স্পেসে বেশি আগ্রহী?

আমরা কর্পোরেট আবাসন, অফিস, সার্ভার রুম, ট্রেনিং ফ্লোর, ওয়ার্কস্পেস বা রিমোট টিম ম্যানেজমেন্টের উপযোগী জায়গা খুঁজি। স্পেসটি শান্ত, নিরাপদ এবং আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন হলে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পাশাপাশি পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, লিফট, নিরাপত্তা ও গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ থাকলে তা আমাদের পছন্দের তালিকায় থাকে।

আমরা সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদি ভাড়া চুক্তিতে আগ্রহী। দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি ভবন মালিকদের জন্য নিয়মিত আয় নিশ্চিত করে এবং আমাদের পক্ষে একটি দীর্ঘমেয়াদী কর্পোরেট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়। প্রয়োজনে চুক্তি নবায়নের ব্যবস্থা রাখার সুযোগও আমরা রাখি।

ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, ইউটিলিটি বিল ও অন্যান্য দায়-দায়িত্ব পারস্পরিক আলোচনা ও লিখিত চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। প্রতিটি দিক স্বচ্ছভাবে উল্লেখ করা হয় যাতে ভবিষ্যতে কোনো বিভ্রান্তি না থাকে। আমাদের লক্ষ্য দুই পক্ষের সম্মানজনক ও ন্যায্য একটি চুক্তি নিশ্চিত করা।

ভবনের বৈধ দলিল, হোল্ডিং নম্বর, অনুমোদিত প্ল্যান, বিদ্যুৎ-গ্যাস লাইসেন্স, এবং মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র আপডেটেড ও সঠিক থাকা অত্যন্ত জরুরি। এতে চুক্তি করতে সহজ হয় এবং ভবিষ্যতে কোনো আইনি জটিলতা থাকে না। আমরা সব ধরনের আইনি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আগ্রহী।

Write a Reply or Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *