 
        
          - Eicrasoft
- July 2025
ঢাকার আশেপাশে ফাঁকা জমি আছে? আমরা, HotelsBD, দীর্ঘমেয়াদে লিজে জমি নিতে আগ্রহী। আমাদের উদ্দেশ্য হলো একটি পরিকল্পিত, আধুনিক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উপযুক্ত জমি খুঁজে বের করা, যেখানে ব্যবসার প্রসার, পরিষেবা উন্নয়ন ও টেকসই স্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। ঢাকা ও এর আশেপাশে যে এলাকাগুলো রাজধানীর সাথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে এমন এলাকায় নির্ভরযোগ্য জমির খোঁজে আমরা এবং একই সাথে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে প্রস্তুত। জমির মালিকরা চাইলে নিশ্চিত লিজ চুক্তির মাধ্যমে ঝামেলামুক্ত আয়ের পথ তৈরি করতে পারেন।
এই ব্লগে আমরা ব্যাখ্যা করবো কেন আমরা জমি নিতে আগ্রহী, কোন লোকেশনগুলো আমাদের পছন্দ, জমির মালিকদের জন্য সুবিধা কী এবং যোগাযোগের প্রক্রিয়া।
কেন আমরা দীর্ঘমেয়াদে জমি লিজ নিতে চাই
আমরা দীর্ঘমেয়াদে জমি লিজ নিতে চাই কারণ, ব্যবসায়িক স্থায়িত্ব ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এটি সবচেয়ে কার্যকর উপায়। নতুন স্থাপনা তৈরি, পর্যাপ্ত স্পেস নিশ্চিত করা এবং উন্নত অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য নিজস্ব জমি থাকা জরুরি নয়—দীর্ঘমেয়াদি লিজই যথেষ্ট।
এতে করে জমির মালিক ও আমাদের উভয়ের মধ্যে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও লাভজনক সম্পর্ক তৈরি হয়। স্থায়ীভাবে একটি নির্দিষ্ট লোকেশনে কাজ চালিয়ে যাওয়া আমাদের গ্রাহকসেবার মান উন্নত করে। একইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার খরচ ও ঝুঁকি কমে আসে। তাই আমরা বিশ্বাস করি, সঠিক শর্তে দীর্ঘমেয়াদি জমি লিজ ব্যবসায়িক সাফল্যের একটি অন্যতম চাবিকাঠি।
ঢাকার আশেপাশে জমি লিজ নিতে আগ্রহের কারণ
ঢাকার আশেপাশে জমি লিজ নিতে আমাদের আগ্রহের মূল কারণ হলো লোকেশন, সংযোগ এবং সম্ভাবনা। পূর্বাচল, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীর মতো এলাকাগুলোতে উন্নত অবকাঠামো, নিরাপত্তা ও যোগাযোগ সুবিধা সহজলভ্য। এসব এলাকায় দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে ব্যবসার গ্রহণযোগ্যতা ও কার্যকারিতা অনেক বেড়ে যায়।
ঢাকার কেন্দ্রের তুলনায় আশেপাশের এলাকাগুলোতে খোলামেলা জমি পাওয়া সহজ এবং খরচও তুলনামূলকভাবে কম। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এসব এলাকার জীবনমান আরও উন্নত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে আমরা ঢাকার আশেপাশের জমি লিজে নিতে আগ্রহী।
কোন এলাকাগুলো আমাদের প্রাধান্য পাবে
আমরা (HotelsBD) ঢাকার পাশের কিছু নির্ভরযোগ্য এলাকায় দীর্ঘমেয়াদে জমি লিজ নিতে আগ্রহী। উন্নত সড়ক যোগাযোগ, আধুনিক অবকাঠামো এবং ব্যবসায়িক সম্ভাবনার ভিত্তিতে আমরা কিছু বিশেষ এলাকাকে প্রাধান্য দিচ্ছি। এই লোকেশনগুলোতে খোলামেলা জমি সহজলভ্য, ভবিষ্যৎ মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং পরিকল্পিত নির্মাণ কাজের জন্য উপযুক্ত।
নিচে এলাকাভিত্তিক আমাদের অগ্রাধিকার তালিকা তুলে ধরলাম:
- সাভার
- পূর্বাচল
- ধামরাই
- নবীনগর
- আশুলিয়া
- কেরানীগঞ্জ
- রূপগঞ্জ (ভুলতা, কাঞ্চন)
- পুবাইল [গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সীমানায়]
- কালীগঞ্জ [নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের মধ্যবর্তী এলাকা]
আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লিজ চুক্তির লাভজনক দিক ও নিরাপত্তা
যেকোনো ভবন মালিকের জন্য একটি স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য ভাড়াটে খুঁজে পাওয়া সবসময় চ্যালেঞ্জের। আমরা আপনাকে অফার করছি একটি দীর্ঘমেয়াদি লিজ চুক্তি, যা ভবনের নিয়মিত ব্যবহার নিশ্চিত করে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে স্থিতিশীলতা আনে। এই ধরণের চুক্তি ভবনকে খালি পড়ে থাকার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে, পাশাপাশি সময়মতো নির্ধারিত অর্থপ্রাপ্তিও নিশ্চিত হয়। পেশাদার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভবন পরিচালনার দায়িত্বও আমাদের। সব শর্তাবলী লিখিতভাবে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত থাকে, যাতে উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা পায়।
নিচে আমরা উল্লেখ করছি এই ধরণের চুক্তির কিছু মূল সুবিধা যা ভবন মালিকদের জন্য কার্যকর হতে পারে:
- নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য আয়: মাসিক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সময়মতো পরিশোধ করা হয়।
- খালি থাকার ঝুঁকি নেই: ৫–১০ বছরের নিশ্চয়তা থাকায় ভবন ব্যবহারে স্থায়ীত্ব বজায় থাকে।
- রক্ষণাবেক্ষণের দায়ভার আমাদের: ভবনের দৈনন্দিন ব্যবস্থাপনা ও মেইনটেনেন্স আমরা করি।
- লিখিত চুক্তিতে সব শর্ত স্পষ্ট: ভবিষ্যৎ জটিলতা এড়াতে প্রতিটি দিক আইনি কাঠামোতে সুরক্ষিত।
- দায়বদ্ধ ও পেশাদার ব্যবহারকারী: আমরা কর্পোরেট ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের জন্য ভবন ব্যবহার করি।
- সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি: নিয়মিত ব্যবহার ও যত্ন ভবনের বাজারমূল্য বাড়াতে সহায়ক।
- আর্থিক পরিকল্পনা সহজ হয়: স্থায়ী আয়ের নিশ্চয়তা থাকায় ভবিষ্যৎ খরচ ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা সহজ হয়।
প্রয়োজনীয় প্রশ্ন ও উত্তর
					 লিজ চুক্তি কত বছরের জন্য করা হয়? 
							
			
			
		
						
				লিজ সাধারণত ৫ থেকে ২০ বছরের জন্য হয়, তবে উভয় পক্ষের সম্মতিতে মেয়াদ পরিবর্তন করা যায়। আমরা দীর্ঘমেয়াদে, অর্থাৎ ১০ বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য লিজ নিতে আগ্রহী, যেন দুই পক্ষই স্থিতিশীল সুবিধা পায়।
					 যদি প্রতিষ্ঠান লিজ শর্ত না মানে তাহলে কী হবে? 
							
			
			
		
						
				চুক্তিপত্রে আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। প্রতিষ্ঠান শর্ত ভঙ্গ করলে মালিক চুক্তি বাতিল করতে পারেন বা আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। এজন্য লিজ চুক্তি আইনজীবীর মাধ্যমে প্রস্তুত করাই সবসময় নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি।
					 কি ধরনের জমি আপনি লিজে নিতে চান? 
							
			
			
		
						
				আমরা চাই খালি প্লট, যেটি বাণিজ্যিক, আবাসিক বা মিশ্র প্রকল্পের জন্য ব্যবহার উপযোগী। জমিটি প্রধান সড়কের কাছাকাছি এবং সার্ভিস সুবিধাসম্পন্ন হলে আমরা তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করব। জমির আকার ও অবস্থান অনুযায়ী চুক্তি স্থির হবে।
যেভাবে যোগাযোগ করতে পারবেন
মোবাইল: +৮৮০১৭১১৯৯০০১০ অথবা +৮৮০১৭১১৯৯৩৩৭৭
ইমেইল: info@hotelsbd.com
ওয়েবসাইট: https://www.hotels.com.bd/
অফিস ঠিকানা: প্লট – ১১৩৬/এ জাপান স্ট্রিট, ব্লক – আই, লেভেল-৫, স্যুট # জি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ১২২৯।
যোগাযোগ করার সময় নিম্নোক্ত তথ্যগুলো প্রস্তুত রাখুন,
- জমির অবস্থান (পূর্ণ ঠিকানা)
- জমির আকার (ডিসিমাল বা কাঠায়)
- জমির বৈধ কাগজপত্র (যদি থাকে)
- আপনার নাম ও যোগাযোগ নম্বর
উপসংহার
আমরা বিশ্বাস করি, জমির সঠিক ব্যবহার শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন মেটায় না—বরং জমির মালিকের জন্যও দীর্ঘমেয়াদে নিরাপদ আয় ও স্থিতিশীলতার সুযোগ তৈরি করে। ঢাকার আশেপাশে অবস্থিত এমন জমি, যেগুলোর লোকেশন ভালো, বৈধ কাগজপত্র আছে এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের উপযোগী—তাই আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায়।
আমরা চুক্তিভিত্তিক, স্বচ্ছ ও আইনি কাঠামোয় জমি লিজ নিয়ে তা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে চাই। জমির মালিকদের সুরক্ষা, নিয়মিত ভাড়া প্রদান ও সম্পদের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করাই আমাদের প্রতিশ্রুতি। আপনার জমি যদি দীর্ঘমেয়াদে নিরাপদভাবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকে, তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনি একটি লাভজনক ও ঝুঁকিমুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আস্থার ভিত্তিতে একটি দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।